ঢাকা , রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ডিবি কার্যক্রমে জোরদার পদক্ষেপে নওগাঁ পুলিশ সুপার রাজশাহীর দূর্গাপুরে অ বৈ ধ সার মজুদ ১৩ বস্তা জ ব্দ তফসিল ঘোষণার পরেই মাঠে ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি, মিনুর পক্ষে জোয়ার রাজশাহীতে গর্তে পড়া শিশু সাজিদ ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার গর্তটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট, ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেছে মাত্র ৪০ ফুট রাজশাহীতে চাঁদাবাজি–হামলায় ক্ষতবিক্ষত ব্যবসায়ী, তালাবদ্ধ দোকান, ন্যায়বিচারের দাবি নওগাঁয় বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানবতাবাদী সাংবাদিকে সম্মাননা প্রধান চন্ডিপুরে দোয়া মাহফিল: মুলা খামারুর নেতৃত্বে ১০০ মোটরসাইকেল অংশগ্রহণ নওগাঁয় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও ঢেউটিন প্রদান বাগমারা’য় ভুয়া চিকিৎসক ছেলে প্রশাসনের অভিযান, অর্থদণ্ড ও জেল,
নোটিশ :
দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। ইমেইল : ainsomaj24@gmail.com, মোবাইল ০১৭০৭-৫৬৯৫৯২, ০১৩০০-৩৪৪২৪৫

প্রেমের টানে পাকিস্তানি তরুণী নওগাঁয় এসে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি যুবককে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:২৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ হাসান, নওগাঁ প্রতিনিধি:

দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি—সবই ভিন্ন। তবুও ভালোবাসা কখনও সীমারেখায় থেমে থাকে না। এমনই এক গল্পের নায়ক-নায়িকা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রবিউল ইসলাম ও পাকিস্তানি তরুণী ফাইজাআমজাদ। রাশিয়ায় পরিচয়, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, আর সেই প্রেমের টানে ফাইজাআমজাদ পাড়ি জমিয়েছেন সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের বহলা গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম জীবিকার তাগিদে রাশিয়ায় যান। সেখানে পড়াশোনা করছিলেন পাকিস্তানের লাহোরের মেয়ে ফাইজাআমজাদ। সেই সূত্রে দুজনের পরিচয় এবং ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্রেম। দীর্ঘদিনের সেই সম্পর্কের পর গত ২২ আগস্ট পাকিস্তানে পারিবারিক সম্মতিতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের পর সম্প্রতি ফাইজাআমজাদ বাংলাদেশে আসেন। রবিউলের গ্রামের বাড়িতে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিনদেশি নববধূকে একনজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের মানুষ।

রবিউল ইসলাম বলেন, “রাশিয়ায় কাজ করার সময় ২০২৩ সালে ফাইজার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমরা দুজন একে অপরকে ভালোবাসি। পরে পরিবারের সম্মতিতে পাকিস্তানে আমাদের বিয়ে হয়।”

ফাইজাআমজাদ বলেন, “আমি রবিউলকে অনেক ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। সবাই আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছে। আমি এখানে থেকেই নাগরিকত্ব নিয়ে চিকিৎসা পেশায় কাজ করতে চাই।”

রবিউলের মা বলেন, “বউমা খুব ভালো। বাড়িতে আসার পর থেকেই সবাইকে সাহায্য করছে। তাকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছে। সবাই বলছে, ছেলের বউ অনেক মিষ্টি স্বভাবের।”

ইউপি চেয়ারম্যান এস. এম. মামুনুর রশিদ জানান, “রবিউল ও ফাইজাআমজাদ ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিল। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, পারিবারিক সম্মতিতেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।”

এদিকে আগে টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশি মেয়েদের বাঙালি ছেলের প্রেমে বাংলাদেশে চলে আসার খবর দেখা গেলেও, এবার নিজের চোখে এমন ঘটনা দেখে অভিভূত স্থানীয়রা।

ভালোবাসা যে সীমান্ত মানে না—রবিউল ও ফাইজাআমজাদ তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিবি কার্যক্রমে জোরদার পদক্ষেপে নওগাঁ পুলিশ সুপার

প্রেমের টানে পাকিস্তানি তরুণী নওগাঁয় এসে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি যুবককে

আপডেট সময় ০১:২৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

জাহিদ হাসান, নওগাঁ প্রতিনিধি:

দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি—সবই ভিন্ন। তবুও ভালোবাসা কখনও সীমারেখায় থেমে থাকে না। এমনই এক গল্পের নায়ক-নায়িকা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রবিউল ইসলাম ও পাকিস্তানি তরুণী ফাইজাআমজাদ। রাশিয়ায় পরিচয়, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, আর সেই প্রেমের টানে ফাইজাআমজাদ পাড়ি জমিয়েছেন সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের বহলা গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম জীবিকার তাগিদে রাশিয়ায় যান। সেখানে পড়াশোনা করছিলেন পাকিস্তানের লাহোরের মেয়ে ফাইজাআমজাদ। সেই সূত্রে দুজনের পরিচয় এবং ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্রেম। দীর্ঘদিনের সেই সম্পর্কের পর গত ২২ আগস্ট পাকিস্তানে পারিবারিক সম্মতিতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের পর সম্প্রতি ফাইজাআমজাদ বাংলাদেশে আসেন। রবিউলের গ্রামের বাড়িতে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিনদেশি নববধূকে একনজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের মানুষ।

রবিউল ইসলাম বলেন, “রাশিয়ায় কাজ করার সময় ২০২৩ সালে ফাইজার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমরা দুজন একে অপরকে ভালোবাসি। পরে পরিবারের সম্মতিতে পাকিস্তানে আমাদের বিয়ে হয়।”

ফাইজাআমজাদ বলেন, “আমি রবিউলকে অনেক ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। সবাই আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছে। আমি এখানে থেকেই নাগরিকত্ব নিয়ে চিকিৎসা পেশায় কাজ করতে চাই।”

রবিউলের মা বলেন, “বউমা খুব ভালো। বাড়িতে আসার পর থেকেই সবাইকে সাহায্য করছে। তাকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছে। সবাই বলছে, ছেলের বউ অনেক মিষ্টি স্বভাবের।”

ইউপি চেয়ারম্যান এস. এম. মামুনুর রশিদ জানান, “রবিউল ও ফাইজাআমজাদ ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিল। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, পারিবারিক সম্মতিতেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।”

এদিকে আগে টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশি মেয়েদের বাঙালি ছেলের প্রেমে বাংলাদেশে চলে আসার খবর দেখা গেলেও, এবার নিজের চোখে এমন ঘটনা দেখে অভিভূত স্থানীয়রা।

ভালোবাসা যে সীমান্ত মানে না—রবিউল ও ফাইজাআমজাদ তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।